যখন সূর্যকে গুটিয়ে নেয়া হবে
আর তারকাগুলো যখন তাদের উজ্জ্বলতা হারিয়ে খসে পড়বে।
পর্বতগুলোকে যখন চলমান করা হবে,
যখন দশ মাসের গর্ভবতী উটনিগুলোকে অযত্নে পরিত্যাগ করা হবে,
যখন বনের জন্তু জানোয়ারকে (বন থেকে গুটিয়ে এনে লোকালয়ে) একত্রিত করা হবে,
যখন সমুদ্রগুলোকে প্রজ্জ্বলিত করে উত্তাল করা হবে।
যখন দেহের সঙ্গে আত্মাগুলোকে আবার জুড়ে দেয়া হবে,
যখন জীবন্ত পুঁতে-ফেলা কন্যা-শিশুকে জিজ্ঞেস করা হবে,
কোন্ অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে?
যখন ‘আমালনামাগুলো খুলে ধরা হবে,
যখন আসমানের পর্দা সরিয়ে ফেলা হবে।
যখন জাহান্নামকে উসকে দেয়া হবে,
আর জান্নাতকে নিকটে আনা হবে,
তখন প্রত্যেক ব্যক্তি জানতে পারবে সে কী (সঙ্গে) নিয়ে এসেছে।
আমি শপথ করছি (গ্রহের) যা পেছনে সরে যায়,
চলে ও লুকিয়ে যায়,
শপথ রাতের যখন তা বিদায় নেয়
আর ঊষার যখন তা নিঃশ্বাস ফেলে অন্ধকারকে বের করে দেয়,
এ কুরআন নিশ্চয়ই সম্মানিত রসূলের (অর্থাৎ জিবরাঈলের) আনীত বাণী।
যে শক্তিশালী, ‘আরশের মালিক (আল্লাহ)’র নিকট মর্যাদাশীল।
সেখানে মান্য ও বিশ্বস্ত।
(ওহে মাক্কাবাসী!) তোমাদের সঙ্গী (মুহাম্মাদ) পাগল নয়।
সে সেই বাণী বাহককে সুস্পষ্ট দিগন্তে দেখেছে,
সে গায়বের (জ্ঞান মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার) ব্যাপারে কৃপণতা করে না।
আর তা কোন অভিশপ্ত শয়ত্বানের বাণী নয়।
কাজেই তোমরা (সত্যকে প্রত্যাখ্যান করে) কোথায় চলেছ?
এটা তো কেবল বিশ্ববাসীদের জন্য উপদেশ।
তার জন্য- যে তোমাদের মধ্যে সরল সঠিক পথে চলতে চায়।
তোমরা ইচ্ছে কর না যদি বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ ইচ্ছে না করেন।