(নবী) মুখ ভার করল আর মুখ ঘুরিয়ে নিল।
(কারণ সে যখন কুরায়শ সরদারদের সাথে আলোচনায় রত ছিল তখন) তার কাছে এক অন্ধ ব্যক্তি আসল।
(হে নবী!) তুমি কি জান, সে হয়ত পরিশুদ্ধ হত।
কিংবা উপদেশ গ্রহণ করত, ফলে উপদেশ তার উপকারে লাগত।
পক্ষান্তরে যে পরোয়া করে না,
তার প্রতি তুমি মনোযোগ দিচ্ছ।
সে পরিশুদ্ধ না হলে তোমার উপর কোন দোষ নেই।
পক্ষান্তরে যে লোক তোমার কাছে ছুটে আসল।
আর সে ভয়ও করে,
তুমি তার প্রতি অমনোযোগী হলে।
না, এটা মোটেই ঠিক নয়, এটা তো উপদেশ বাণী,
কাজেই যার ইচ্ছে তা স্মরণে রাখবে,
(এটা লিপিবদ্ধ আছে) মর্যাদাসম্পন্ন কিতাবসমূহে
সমুন্নত, পবিত্র।
(এমন) লেখকদের হাতে
(যারা) মহা সম্মানিত পূত-পবিত্র।
মানুষ ধ্বংস হোক! কোন্ জিনিস তাকে সত্য প্রত্যাখ্যানে উদ্বুদ্ধ করল?
আল্লাহ তাকে কোন বস্তু হতে সৃষ্টি করেছেন?
শুক্রবিন্দু হতে। তিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তাকে পরিমিতভাবে গড়ে তুলেছেন।
অতঃপর তিনি (উপায়-উপকরণ ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী দিয়ে জীবনে চলার জন্য) তার পথ সহজ করে দিয়েছেন।
অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান এবং তাকে কবরস্থ করেন।
অতঃপর যখন তিনি চাইবেন তাকে আবার জীবিত করবেন।
না, মোটেই না, আল্লাহ তাকে যে নির্দেশ দিয়ে ছিলেন তা সে এখনও পূর্ণ করেনি।
মানুষ তার খাদ্যের ব্যপারটাই ভেবে দেখুক না কেন।
আমি প্রচুর পানি ঢালি,
তারপর যমীনকে বিদীর্ণ করে দেই,
অতঃপর তাতে আমি উৎপন্ন করি-শস্য,
আঙ্গুর, তাজা শাক-শব্জী,
যয়তূন, খেজুর,
আর ঘন বৃক্ষ পরিপূর্ণ বাগবাগিচা,
আর নানান জাতের ফল আর ঘাস-লতাপাতা।
তোমাদের আর তোমাদের গৃহপালিত পশুগুলোর ভোগের জন্য।
অবশেষে যখন কান-ফাটানো শব্দ আসবে;
সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই থেকে,
তার মা, তার বাপ,
তার স্ত্রী ও তার সন্তান থেকে,
সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকবে।
সেদিন কতক মুখ উজ্জ্বল হবে,
সহাস্য, উৎফুল্ল।
সেদিন কতক মুখ হবে ধূলিমলিন।
কালিমা ওগুলোকে আচ্ছন্ন করবে।
তারাই আল্লাহকে প্রত্যাখ্যানকারী, পাপাচারী।