All Islam Directory
1

শপথ সেই ফেরেশতাদের যারা (পাপীদের আত্মা) নির্মমভাবে টেনে বের করে,

2

আর যারা (নেককারদের আত্মা) খুবই সহজভাবে বের করে,

3

শপথ সেই ফেরেশতাদের যারা দ্রুতগতিতে সাঁতার কাটে,

4

আর (আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য) ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে যায়,

5

অতঃপর সব কাজের ব্যবস্থা করে।

6

সেদিন ভূকম্পন প্রকম্পিত করবে,

7

তারপর আসবে আরেকটি ভূকম্পন।

8

কত হৃদয় সে দিন ভয়ে ভীত হয়ে পড়বে,

9

তাদের দৃষ্টি নত হবে,

10

তারা বলে, ‘আমাদেরকে কি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে?

11

আমরা যখন পচা-গলা হাড় হয়ে যাব (তখনও)?’

12

তারা বলে, ‘অবস্থা যদি তাই হয় তাহলে এই ফিরিয়ে আনাটাতো সর্বনাশের ব্যাপার হবে।’

13

ওটা তো কেবল একটা বিকট আওয়াজ,

14

সহসাই তারা খোলা ময়দানে আবির্ভূত হবে।

15

মূসার বৃত্তান্ত তোমার কাছে পৌঁছেছে কি?

16

যখন তার প্রতিপালক তাকে পবিত্র তুয়া প্রান্তরে ডাক দিয়ে বলেছিলেন

17

‘ফেরাউনের কাছে যাও, সে সীমালঙ্ঘন করেছে,

18

তাকে জিজ্ঞেস কর, ‘তুমি কি পবিত্রতা অবলম্বন করতে ইচ্ছুক?

19

আর আমি তোমাকে তোমার প্রতিপালকের দিকে পথ দেখাই যাতে তুমি তাঁকে ভয় কর?’

20

অতঃপর মূসা তাকে বিরাট নিদর্শন দেখাল।

21

কিন্তু সে অস্বীকার করল ও অমান্য করল।

22

অতঃপর সে (আল্লাহর বিরুদ্ধে) জোর প্রচেষ্টা চালানোর জন্য (সত্যের) উল্টোপথে ফিরে গেল।

23

সে লোকদেরকে একত্রিত করল আর ঘোষণা দিল।

24

সে বলল, ‘আমিই তোমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ রব’।

25

পরিশেষে আল্লাহ তাকে আখেরাত ও দুনিয়ার ‘আযাবে পাকড়াও করলেন।

26

যে ভয় করে এমন প্রতিটি লোকের জন্য এতে অবশ্যই শিক্ষা আছে।

27

তোমাদের সৃষ্টি বেশি কঠিন না আকাশের? তিনি তো সেটা সৃষ্টি করেছেন।

28

তার ছাদ অনেক উচ্চে তুলেছেন, অতঃপর তাকে ভারসাম্যপূর্ণ করেছেন।

29

তিনি তার রাতকে আঁধারে ঢেকে দিয়েছেন, আর তার দিবালোক প্রকাশ করেছেন।

30

অতঃপর তিনি যমীনকে বিস্তীর্ণ করেছেন।

31

তিনি তার ভিতর থেকে বের করেছেন তার পানি ও তার তৃণভূমি।

32

পবর্তকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন,

33

এ সমস্ত তোমাদের আর তোমাদের গৃহপালিত পশুগুলোর জীবিকার সামগ্রী।

34

অতঃপর যখন মহাসংকট এসে যাবে।

35

সেদিন মানুষ স্মরণ করবে যা কিছু করার জন্য সে জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে।

36

এবং জাহান্নামকে দেখানো হবে এমন ব্যক্তিকে যে দেখতে পায়।

37

অতঃপর (দুনিয়ায়) যে লোক সীমালঙ্ঘন করেছিল,

38

আর পার্থিব জীবনকে (পরকালের উপর) প্রাধান্য দিয়েছিল

39

জাহান্নামই হবে তার আবাসস্থল।

40

আর যে লোক তার প্রতিপালকের সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করেছিল এবং নিজেকে কামনা বাসনা থেকে নিবৃত্ত রেখেছিল,

41

জান্নাতই হবে তার বাসস্থান।

42

এরা তোমাকে জিজ্ঞেস করে ক্বিয়ামত সম্পর্কে- ‘কখন তা ঘটবে?’

43

এর আলোচনার সাথে তোমার কী সম্পর্ক?

44

এ সংক্রান্ত জ্ঞান তোমার প্রতিপালক পর্যন্তই শেষ।

45

যারা একে ভয় করে তুমি কেবল তাদের সতর্ককারী।

46

যেদিন তারা তা দেখবে সেদিন তাদের মনে হবে, যেন তারা (পৃথিবীতে) এক সন্ধ্যা বা এক সকালের বেশি অবস্থান করেনি।