All Islam Directory
1

ঊষার শপথ,

2

(জিলহাজ্জ মাসের প্রথম) দশ রাতের শপথ,

3

জোড় ও বেজোড়ের শপথ,

4

আর রাতের শপথ যখন তা গত হতে থাকে,

5

অবশ্যই এতে জ্ঞানী ব্যক্তির জন্য শপথ আছে।

6

তুমি কি দেখনি তোমার প্রতিপালক ‘আদ জাতির সঙ্গে কী ব্যবহার করেছিলেন?

7

উচ্চ স্তম্ভ নির্মাণকারী ইরাম গোত্রের প্রতি?

8

যার সমতুল্য অন্য কোন দেশে নির্মিত হয়নি।

9

এবং সামূদের প্রতি যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল?

10

এবং (সেনা ছাউনী স্থাপনের কাজে ব্যবহৃত) কীলক-এর অধিপতি ফেরাউনের প্রতি?

11

যারা দেশে সীমালঙ্ঘনমূলক আচরণ করেছিল,

12

আর সেখানে বহু বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল।

13

অতঃপর তোমার প্রতিপালক তাদের উপর শাস্তির চাবুক হানলেন

14

তোমার প্রতিপালক অবশ্যই সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন (যেমন ঘাঁটিতে শত্রুর প্রতি দৃষ্টি রাখা হয়)।

15

মানুষ এমন যে, তার প্রতিপালক যখন তাকে পরীক্ষা করেন সম্মান ও অনুগ্রহ দান ক’রে, তখন সে বলে, ‘আমার রব আমাকে সম্মানিত করেছেন।’

16

আর যখন তিনি তাকে পরীক্ষা করেন তার রিযক সঙ্কুচিত ক’রে, তখন সে বলে, ‘আমার রব আমাকে লাঞ্ছিত করেছেন।’

17

না (রিযক) কক্ষনো (মান-সম্মানের মানদন্ড) নয়, বরং তোমরা ইয়াতীমের প্রতি সম্মানজনক আচরণ কর না,

18

আর তোমরা ইয়াতীম মিসকিনকে খাদ্য দেয়ার জন্য পরস্পরকে উৎসাহিত কর না,

19

আর তোমরা উত্তরাধিকারীদের সব সম্পদ খেয়ে ফেল।

20

আর তোমরা ধনসম্পদকে অতিরিক্ত ভালবাস।

21

এটা মোটেই ঠিক নয়, যখন পৃথিবীকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে বালি বানিয়ে দেয়া হবে,

22

আর যখন তোমার প্রতিপালক আসবেন আর ফেরেশতারা আসবে সারিবদ্ধ হয়ে,

23

আর জাহান্নামকে সেদিন (সামনাসামনি) আনা হবে। সেদিন মানুষ উপলব্ধি করবে, কিন্তু তখন এ উপলব্ধি তার কী কাজে আসবে?

24

সে বলবে, ‘হায়! আমার (এখনকার) জীবনের জন্য যদি আমি (সৎকর্ম) আগে পাঠাতাম!

25

অতঃপর সেদিন তাঁর শাস্তির মত শাস্তি কেউ দিতে পারবে না

26

এবং তাঁর বাঁধনের মত কেউ বাঁধতে পারবে না।

27

(অপর দিকে নেককার লোককে বলা হবে) হে প্রশান্ত আত্মা!

28

তোমার রব-এর দিকে ফিরে এসো সন্তুষ্ট হয়ে এবং (তোমার রব-এর) সন্তুষ্টির পাত্র হয়ে।

29

অতঃপর আমার (নেক) বান্দাহদের মধ্যে শামিল হও

30

আর আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।