(সব কিছুকে) আচ্ছন্নকারী কিয়ামাতের খবর তোমার কাছে পৌঁছেছে কি?
কতক মুখ সেদিন নীচু হবে
হবে কর্মক্লান্ত, শ্রান্ত।
তারা জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশ করবে।
টগবগে ফুটন্ত ঝর্ণা থেকে তাদেরকে পান করানো হবে।
কাঁটাযুক্ত শুকনো ঘাস ছাড়া তাদের জন্য আর কোন খাদ্য থাকবে না।
যা পুষ্টিসাধন করবে না, আর ক্ষুধাও মিটাবে না।
কতক মুখ সেদিন হবে আনন্দে উজ্জ্বল।
নিজেদের চেষ্টা-সাধনার জন্য সন্তুষ্ট।
উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ জান্নাতে,
সেখানে শুনবে না কোন অনর্থক কথাবার্তা,
সেখানে থাকবে প্রবহমান ঝর্ণা,
সেখানে থাকবে উন্নত মর্যাদাসম্পন্ন আসন,
পানপাত্র থাকবে প্রস্তুত।
সারি সারি বালিশ,
আর থাকবে মখমল- বিছানো।
(ক্বিয়ামত হবে একথা যারা অমান্য করে) তারা কি উটের প্রতি লক্ষ্য করে না, (সৃষ্টি কুশলতায় ভরপুর ক’রে) কী ভাবে তা সৃষ্টি করা হয়েছে?
এবং আসমানের দিকে, কীভাবে তা ঊর্ধ্বে উঠানো হয়েছে?
এবং পর্বতমালার দিকে, কী রকম দৃঢ়ভাবে তাকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে?
আর যমীনের দিকে, কীভাবে তাকে বিছিয়ে দেয়া হয়েছে?
কাজেই তুমি তাদেরকে উপদেশ দাও, তুমি একজন উপদেশদাতা মাত্র।
তুমি তাদের ওপর জবরদস্তিকারী নও।
তবে কেউ কুফুরি করলে এবং মুখ ফিরিয়ে নিলে
আল্লাহ তাকে মহাশাস্তিতে শাস্তি দেবেন।
তাদেরকে আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে।
অতঃপর তাদের হিসাব নেয়া তো আমারই কাজ।