যখন আসমান ফেটে যাবে,
এবং স্বীয় রব-এর নির্দেশ পালন করবে, আর তাই তার করণীয়।
এবং যমীনকে যখন প্রসারিত করা হবে,
আর তা তার ভেতরে যা আছে তা বাইরে নিক্ষেপ করবে ও খালি হয়ে যাবে।
এবং স্বীয় রব-এর নির্দেশ পালন করবে আর তাই তার করণীয়।
হে মানুষ! তোমাকে তোমার রব পর্যন্ত পৌঁছতে বহু কষ্ট স্বীকার করতে হবে, অতঃপর তুমি তাঁর সাক্ষাৎ লাভ করবে।
অতঃপর যার ‘আমালনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে।
তার হিসাব সহজভাবেই নেয়া হবে।
সে তার স্বজনদের কাছে সানন্দে ফিরে যাবে।
আর যাকে তার ‘আমালনামা তার পিঠের পিছন দিক থেকে দেয়া হবে,
সে মৃত্যুকে ডাকবে,
এবং জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশ করবে।
সে তার পরিবার-পরিজনের মাঝে আনন্দে মগ্ন ছিল,
সে ভাবত যে, সে কক্ষনো (আল্লাহর কাছে) ফিরে যাবে না।
অবশ্যই ফিরে যাবে, তার প্রতিপালক তার প্রতি দৃষ্টি রাখছেন।
আমি শপথ করি সন্ধ্যাকালীন লালিমার,
আর রাতের এবং তা যা কিছুর সমাবেশ ঘটায় তার,
আর চাঁদের যখন তা পূর্ণ চাঁদে পরিণত হয়,
অবশ্যই তোমরা (আধ্যাত্মিক ও জাগতিক সর্বক্ষেত্রে) স্তরে স্তরে উন্নতির সিঁড়ি বেয়ে উর্ধ্বে উঠবে।
অতএব তাদের কী হল যে তারা ঈমান আনে না?
আর তাদের কাছে যখন কুরআন পাঠ করা হয় তখন সাজদাহ করে না?[সাজদাহ]
(কুরআন শুনে সেজদা করা তো দূরের কথা) বরং কাফিররা ওটাকে অস্বীকারই করে।
আল্লাহ খুব ভাল করেই জানেন তারা (তাদের অন্তরে) কী লুকিয়ে রাখে।
কাজেই তাদেরকে মর্মান্তিক ‘আযাবের সুসংবাদ দাও।
কিন্তু যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে তারা বাদে; তাদের জন্য আছে অফুরন্ত প্রতিদান।