অল ইসলাম লাইব্রেরি

77 - প্রেরিত পুরুষ - Al-Mursalāt

:1

পর পর পাঠানো বাতাসের শপথ যা উপকার সাধন করে,

:2

অতঃপর তা প্রচন্ড ঝড়ের বেগে বইতে থাকে,

:3

শপথ সেই বায়ুর যা (মেঘমালাকে) ছড়িয়ে দেয় দূর দূরান্তে,

:4

আর বিচ্ছিন্নকারী বাতাসের শপথ যা (মেঘমালাকে) বিচ্ছিন্ন করে,

:5

অতঃপর (মানুষের অন্তরে) পৌঁছে দেয় (আল্লাহর) স্মরণ,

:6

(বিশ্বাসী লোকদেরকে) ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দেয়ার জন্য আর (কাফিরদেরকে) সতর্ক করার জন্য।

:7

তোমাদেরকে যার ও‘য়াদা দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই সংঘটিত হবে।

:8

যখন নক্ষত্ররাজির আলো বিলুপ্ত হবে,

:9

যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে,

:10

যখন পবর্তমালা ধুনিত হবে।

:11

যখন (হাশরের মাঠে) রসূলগণের একত্রিত হওয়ার সময় এসে পড়বে।

:12

(এ সব বিষয়) কোন দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে?

:13

চূড়ান্ত ফয়সালার দিনের জন্য।

:14

সেই চূড়ান্ত ফয়সালার দিনটি কী তা তোমাকে কিসে জানাবে?

:15

সে দিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।

:16

আমি কি আগেকার লোকেদেরকে ধ্বংস করে দেইনি?

:17

অতঃপর পরবর্তী লোকেদেরকেও আমি তাদের অনুগামী করব।

:18

অপরাধীদের প্রতি আমি এরকমই করে থাকি।

:19

সে দিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।

:20

আমি কি নগণ্য পানি থেকে তোমাদেরকে সৃষ্টি করিনি?

:21

অতঃপর আমি তা রেখেছি এক সুসংরক্ষিত স্থানে।

:22

একটা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত,

:23

অতঃপর আমি তাকে গঠন করেছি সুসামঞ্জস্যপূর্ণরূপে, আমি কতই না উত্তম ক্ষমতার অধিকারী!

:24

সে দিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।

:25

আমি কি পৃথিবীকে (সব কিছুকে টেনে গুটিয়ে) ধারণকারীরূপে সৃষ্টি করিনি?

:26

জীবিত ও মৃতদেরকে (ভাল আর মন্দকে নেককার আর পাপাচারীকে)।

:27

আর আমি তাতে স্থাপন করেছি অনড় সুউচ্চ পবর্তমালা আর তোমাদেরকে পান করিয়েছি সুমিষ্ট সুপেয় পানি।

:28

সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।

:29

(তাদেরকে বলা হবে) ‘চলো তার দিকে তোমরা যাকে মিথ্যে ব’লে প্রত্যাখ্যান করতে।

:30

‘চলো সেই (ধোঁয়ার) ছায়ার দিকে যার আছে তিনটি শাখা (অর্থাৎ ডানে, বামে, উপরে সব দিক থেকেই ঘিরে ধরবে),

:31

যা শীতল নয়, আর তা লেলিহান অগ্নিশিখা থেকে বাঁচাতেও পারবে না।

:32

সে আগুন প্রাসাদের ন্যায় (বিশাল) স্ফুলিঙ্গ উৎক্ষেপ করবে,

:33

যেন হলুদ রঙ্গের উটের সারি,

:34

সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।

:35

এদিন এমন যে, কেউ কথা বলতে পারবে না,

:36

তাদেরকে কোন ওজর পেশ করারও সুযোগ দেয়া হবে না।

:37

সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।

:38

এটা চূড়ান্ত ফয়সালার দিন, আমি একত্রিত করেছি তোমাদেরকে আর আগের লোকেদেরকে।

:39

এক্ষণে তোমাদের কাছে যদি কোন কৌশল থাকে তাহলে তা আমার বিরুদ্ধে প্রয়োগ কর।

:40

সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।

:41

মুত্তাকীরা থাকবে ছায়া আর ঝর্ণাধারার মাঝে,

:42

আর তাদের জন্য থাকবে ফলমূল- যেটি তাদের মন চাইবে।

:43

(তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমরা তৃপ্তির সঙ্গে খাও আর পান কর, তোমরা যে ‘আমাল করেছিলে তার পুরস্কারস্বরূপ।

:44

সৎকর্মশীলদেরকে আমি এভাবেই প্রতিফল দিয়ে থাকি।

:45

সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।

:46

(ওহে সত্য প্রত্যাখ্যানকারীরা!) তোমরা অল্প কিছুকাল খেয়ে নাও আর ভোগ করে নাও, তোমরা তো অপরাধী।

:47

সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।

:48

তাদেরকে যখন বলা হয় (আল্লাহর সম্মুখে) নত হও, (তাঁর আদেশসমূহ পালনের মাধ্যমে) তখন তারা নত হয় না।

:49

সেদিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য।

:50

তাহলে কুরআনের পর (তার চেয়ে উত্তম) আর কোন্ কিতাব আছে যার উপর তারা ঈমান আনবে?